মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৯ পূর্বাহ্ন
নিউজ ডেস্ক: কক্সবাজারে শরণার্থীশিবিরে গত নয় মাসে জন্ম নিয়েছে ১৬ হাজার রোহিঙ্গা শিশু। অর্থাৎ প্রতিদিন প্রায় ৬০টি করে শিশুর জন্ম হচ্ছে। জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এ তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটির নিউইয়র্কের প্রধান কার্যালয় থেকে বৃহস্পতিবার পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
মিয়ানমারের রাখাইনে গত বছরের আগস্টে সেনা অভিযানে চালানো সহিংসতার পর পালিয়ে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসে। জাতিসংঘ মিয়ানমারের ওই সেনা অভিযানকে বর্ণনা করেছে জাতিগত নির্মূল অভিযান হিসেবে। তবে মিয়ানমার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি অ্যাডওয়ার্ড বিগবেদার বলেছেন, ভয়ংকর পরিবেশের মধ্যে মাতৃগর্ভে থেকে প্রতিদিন প্রায় ৬০টি শিশু পৃথিবীর মুখ দেখছে। এসব মা নিজ আবাসভূমি থেকে বিতাড়িত হয়েছেন। শিকার হয়েছেন ভয়ংকর সহিংসতা ও কখনো কখনো ধর্ষণের।
তিনি বলেন, যৌন সহিংসতার কারণে কত শিশু জন্ম নিয়েছে বা ভবিষ্যতে নেবে, তার সঠিক সংখ্যা বলা অসম্ভব। তবে প্রত্যেক নতুন মা ও সন্তানের জন্য সাহায্য ও সমর্থনের প্রয়োজনীয়তা আবশ্যক।
রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা প্রায় আট লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে ওই সব নারী ও শিশুরা, যারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এদের জন্য বিশেষ সহযোগিতার প্রয়োজন। কারণ বেশির ভাগ নারী ও মেয়েশিশু কলঙ্ক ও নিপীড়নের ভয়ে সামনে এগিয়ে আসার সাহস করতে পারছে না।
ইউনিসেফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নয় মাস আগে সঙ্কট শুরুর পর থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১৬ হাজারের বেশি শিশুর জন্ম হয়েছে। এদের মধ্যে মাত্র তিন হাজার শিশুর জন্মের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর্মীদের সহযোগিতা করার সুযোগ হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি পাঁচটি শিশুর মধ্যে একটি শিশু স্বাস্থ্যসেবা পেয়েছে। ধারণা করা যায়, মাত্র ১৮ শতাংশ মা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সন্তান জন্ম দিয়েছেন।
সম্প্রতি বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগের এক শীর্ষ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানায়, শরণার্থীশিবিরে ১৮ হাজার ৩০০ জন গর্ভবতী নারীকে শনাক্ত করা হয়েছে। তবে সব মিলিয়ে ২৫ হাজার এ রকম নারী রয়েছেন বলে তার ধারণা।